অনলাইন ডেস্কঃ স্মার্ট কার্ডজাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডির উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট কার্ড বিতরণ ২ অক্টোবর শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি এক বা একাধিক জেলার কার্ড বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সব ভোটারকেই স্মাট কার্ড দেওয়া হবে। তবে এই স্মার্ট কার্ড নেওয়ার সময় নাগরিকদের পুরনো কার্ড জমা দেওয়ার পাশাপাশি ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি দিতে হবে। এক্ষেত্রে কারও কার্ড হারিয়ে গেলে প্রথমে পুরনো কার্ডটি তুলে তা জমা দিয়ে স্মার্ট কাড নিতে হবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ কার্ড বিতরণের উদ্বোধন করবেন। এর পরদিন থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কার্ড বিতরণ শুরু হবে। তবে সব ওয়ার্ড থেকে এক যোগে বিতরণ হবে না, পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্মার্ট কার্ড নেওয়ার সময় ভোটারদের নতুন করে কোনও ছবি তুলতে হবে না বা কোনও তথ্য দিতে হবে না। নির্বাচন কমিশনে প্রত্যেক ভোটারের যে ছবি ও অন্যান্য তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে, তারই ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে স্মার্ট কার্ড। অর্থাৎ ভোটারদের হাতে বর্তমানে যে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, তার ছবি ও অন্যান্য তথ্যযুক্ত থাকবে নতুন স্মার্ট কার্ডে। তবে, কোনও ভোটার স্মার্ট কার্ড তৈরি হওয়ার আগে ছবি পরিবর্তন বা অন্যান্য তথ্য সংশোধন করে থাকলে স্মার্ট কার্ডে নতুন ছবি পাবেন।
এদিকে স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পরও ভোটারদের ছবি বা অন্যান্য তথ্য সংশোধন/হালনাগাদের সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ// ফি জমা দিয়ে তাদের নিজ নিজ নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। সংশোধিত নতুন স্মার্টকার্ড তৈরি হলে ভোটারের মোবাইলে এসএমএস’র মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। পরে তারা উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে তা সংগ্রহ করবেন।
কোন প্রক্রিয়ায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে, জানতে চাইলে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা এখনও কোনও নির্দেশনা পাইনি। তবে জেনেছি ঢাকা শহরে ওয়ার্ড ভিত্তিক কার্ড দেওয়া হবে। এখনও তো হাতে এক মাসের মতো সময় রয়েছে। এর আগে নিশ্চয়ই আমরা বিষয়টি পুরোপুরি জানতে পারব।’
কার্ড বিতরণের প্রক্রিয়ার বিষয়ে কমিশনের মাঠ প্রশাসনেও এখনও কোনও নির্দেশনা যায়নি বলে জানান বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিসার ইউনুচ আলী। তিনি বলেন, ‘কবে থেকে এবং কিভাবে কার্ড বিরতণ করা হবে, সে বিষয়ে আমাদের প্রতি কোনও নির্দেশনা এখনও আসেনি। ২০০৮ সালে যখন ছবিযুক্ত ভোটার কার্ড প্রথম বিতরণ করা হয়, তখন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নভিত্তিক হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তথ্য সংগ্রহকারীদের মাধ্যমে কার্ড বিতরণ করা হয়। এবার যেহেতু কার্ড নেওয়ার সময় ভোটারদের আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি দিতে হবে, সেহেতু নির্দিষ্ট কোথাও ক্যাম্প করে এটা দিতে হবে।’