কুলাউড়ায় বধ্যভূমিতে নির্মিত স্মৃতিসৌধ রক্ষার দাবীতে মানব বন্ধন

কুলাউড়ায় বধ্যভূমিতে নির্মিত স্মৃতিসৌধ রক্ষার দাবীতে মানব বন্ধন
স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার রবিরবাজারে বধ্যভূমির জায়গায় নির্মিত স্মৃতিসৌধের জায়গার লিজ বাতিল ও রক্ষার দাবীতে বিশাল মানব বন্ধন করেছে স্থানীয়রা।

গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রবিরবাজারে ‘স্মৃতিসৌধ রক্ষা কমিটির’ আয়োজনের মানববন্ধনে ইউপি সদস্য আব্দুল মনাফের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক সৈয়দ আশফাক তানভীর ও ছাত্রইউনিয়ন নেতা ফয়জুল হকের যৌথ পরিচালনায় মানব বন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ কমরেড আব্দুল মালিক, ইউপি চেয়ারম্যান নবাব আলী বাখর খান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার ইলিয়াছ আলী চৌধুরী (রেকু মিয়া), মুক্তিযোদ্ধা মফিজ আলী, মুক্তিযোদ্ধা নজির উদ্দিন খান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ডা. বিধান রঞ্জন দেব, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কুমুদ মালাকারের স্ত্রী শেফালী মালাকার, প্রভাষক মাজহারুল ইসলাম, জাসদ নেতা আশিকুর রহমান ফটিক, বিএনপি নেতা নবাব আলী তাকি খান, মৌলভীবাজার টেলিভিশন সাংবাদিক এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক এমএ হামিদ, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু মো. নাসির উদ্দিন, জাসদ নেতা আব্দুল গাফফার কায়ছুল, সৈয়দ আব্দুল মুনিম রুহেল, নবাব আলী আশরাফ খাঁন (বাবু), ইউনিয়ন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম মাস্টার, দৈনিক মানবকণ্ঠ প্রতিনিধি সেলিম আহমেদ, ব্যবসায়ী নেতা মাসুক আহমদ, কমরেড আব্দুল আহাদ, ইউপি সদস্য মাসুদ রানা আব্বাছ, সাবেক মেম্বার মুহিব হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা ময়নুল ইসলাম পংকি, জাসদ ছাত্রলীগ নেতা আহমেদ মোনায়েম মান্না, শ্রমিক নেতা আব্দুল জব্বার, সংবাদকর্মী রাজু আহমদ, মানবাধিকার কর্মী তপন দত্ত, প্রবাসী কামরুল মিয়া প্রমুখ। মানব বন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার, ছগীর আলী স্মৃতি পরিষদ, লংলা রিডিং ক্লাব, সাংস্কৃতিক পরিষদ, রবিরবাজার ক্লাব ও অন্যান্য সামাজিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ।

মানবন্ধনে বক্তরা বলেন, এই বধ্যভূমিতে পাাকিস্থানী হানাদার বাহিনী এলাকার ২১ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে দেশ স্বাধীন হলে এ বধ্যভূমির জায়গায় একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন পূর্বে জেলা পরিষদ এ জায়গাটি লিজ দিয়ে দেয়। এর পর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন এলাকার সর্বসস্তরের মানুষ। তারা বলেন, অনতিবিলম্বে এ লিজ বাতিল না করা হলে আরও কঠোর আন্দোলন হাতে নেয়া হবে। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও এ বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধের জায়গা রক্ষা করা হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post