স্পোর্টস ডেস্কঃ রিও
অলিম্পিকে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি ব্রাজিলের। অথচ সেই ব্রাজিলই কিনা
স্বর্ণ জিতল। অসংখ্য সুযোগ হাতছাড়া করা স্বাগতিকরা স্নায়ুচাপ ধরে রেখে
ফাইনালে জার্মানির সঙ্গে জিতেছে টাইব্রেকারে(৫-৪ ব্যবধানে)। নেইমারের শট
জালে জড়াতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো মারাকানা, অধরা স্বর্ণের স্বপ্ন পূরণ হয়
ব্রাজিলের। এর মধ্য দিয়ে ফুটবলে জেতা সম্ভব এমন বড় বড় সব শিরোপাই জিতল
ফুটবলের সফলতম দেশটি।
রবিবার
বাংলাদেশ সময় রাত আড়াইটায় শুরু হওয়া ম্যাচে অবশ্য ১০ মিনিটে এগিয়ে যেতে
পারত জার্মানি। ২২ গজ দূর থেকে ইউলিয়ান ব্রান্টের শট ব্যর্থ হয় ক্রসবারে
লেগে। ধাক্কা সামলে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন নেইমাররা। এগিয়ে যেতেও বেশি
সময় লাগেনি তাদের। ম্যাচের ২৫ মিনিটের মাথায় আক্রমণে যাওয়া নেইমারকে ফাউল
করায় ডি-বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে ফ্রি-কিক পায় রজারিও মিকেলের শিষ্যরা। ৩০
গজ দূর থেকে ফ্রি-কিক নেন বার্সোলোনা সুপারস্টার নেইমার। তার ডানপায়ের
দুর্দান্ত কোনাকুনি শট জার্মানির জালে জড়ালে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
চলতি আসরে ব্রাজিলিয়ান অধিনায়কের এটি চতুর্থ গোল।
বিরতির
পর খেলার ৫৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে জার্মানি। জেরেমির দারুণ এক ক্রস থেকে
ব্রাজিলের ডি-বক্সে বল পান ম্যাক্স মায়ের। কিছুটা অরক্ষিত মায়ের ডানপায়ের
আলতো টোকায় ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে দেন। ফলে, ১-১ গোলের সমতায় ম্যাচে ফেরে
জার্মানরা।
এরপর
৭৩ মিনিটে জটলার মধ্যে বল পেয়ে হেড করেন নেইমার। তবে, বল নিজের
গ্লাভসবন্দি করতে করতে বেগ পেতে হয়নি জার্মান গোলরক্ষকের। ৭৭ মিনিটে নেইমার
দারুণ একটি বল বানিয়ে দেন সতীর্থ লুয়ানকে। বল নিয়ে একেবারে অরক্ষিত
জার্মান দূর্গে ঢুকে পড়লেও তার শটটি নিতে একটু দেরিই হয়ে যায়। পিছনে ছুটে
আসা জার্মান ডিফেন্ডাররা লুয়ানের পা থেকে বল কেড়ে নিজেদের বিপদমুক্ত করেন।
পরের মিনিটে নেইমারের ডানপায়ের আরেকটি কোনাকুনি শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে
যায়।
কানায়
কানায় পূর্ণ স্টেডিয়ামে অংসখ্য সুযোগ তৈরি করে ব্রাজিল। কিন্তু
ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা আর গোলরক্ষক টিমো হর্ন ‘চীনের প্রাচীর’ হয়ে দাঁড়ানোয়
সেগুলো কাজে লাগেনি। প্রতি আক্রমণ থেকে সুযোগ আসে জার্মানির সামনেও। ব্যর্থ
হয় তারাও। তাই খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত
সময়েও ছিল স্বাগতিকদের গোলের সুযোগ হাতছাড়ার মহড়া। নিজেদের রক্ষণ সামলে
খুব একটা আক্রমণে উঠতে পারেনি জার্মানি। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে
জয়ের হাসি স্বাগতিকদের।