এম. এ. কাইয়ুম: আটক করা হয়েছে কুলাউড়ার সেই আলোচিত ধর্ষককে। বিকেল সাড়ে ৪টায় কুলাউড়া থানার এস আই নুর হুসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লম্পট মাছুমকে ঘুমন্ত অস্থায় উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের আমানি পুর এলাকা থেকে আটক করে।
এর আগে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকায় বুধবার ভোরে সিএনজি অটোরিক্সা (মৌলভীবাজার-থ: ১২-২০৬৩) ও একই ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ড্রাইভার জহির আলী (২০)-কে আটক করা হয়।
এদিকে ধষর্ণের ঘটনায় ৩জনকে অভিযুক্ত করে কুলাউড়া থানায় মামলা (মামলা নং -৩২) দায়ের করেন নির্যাতনে শিকার মেয়েটির মা ছমিরুন বেগম।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রাজনগরের সুজানগর গ্রামের মৃত আব্দুল মিয়ার মেয়ে ৭ম শ্রেনীর স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে (১২)-কে ধর্ষণ করে টিলাগাঁও ইউনিয়নের আমানীপুর গ্রামের বটল মিয়ার ছেলে মাসুম (২৫)।
সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রাজনগর মসজিদের পাশ থেকে স্থানীয় রাজনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রীকে একটি সিএনজি অটোরিক্সাযোগে অপহরণ করে স্থানীয় মুড়ইছড়া এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে বখাটে মাসুম। পরে দুপুর সাড়ে ১১ টায় ছাত্রীর মা দেখতে পান রবিরবাজার আশা এনজিও-এর পাশে মাসুম সিএনজি অটোরিক্সা থেকে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যাচ্ছে। পরে ঐ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৌলভীবাজার সরকারী হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে সে ওখানে চিকিৎসাধীন আছে।
মৌলভীবাজারে না গিয়ে ধর্ষনের ঘটনাকে মিমাংশা করতে চান ইউপি সদস্য কিবরীয়া হুসেন খোকন ও ফুয়াদ আলম।
বিষয়টি চাউর হলে হস্তক্ষেপ করেন কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাহসিনা বেগম, কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুদ্দোহা পিপিএম, সাংবাদিক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের কুলাউড়া উপজেলার ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) প্রোগ্রাম অফিসার রিজভী আহমদ রাসেল, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খান (হাসনাইন)। এতে অনেকটা তোপের মূখে পিছু হটে দালালরা। ধর্ষককে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুলাউড়া থানার এস আই নুর হোসেন জানান।
