নিউজ
ডেস্কঃ হত্যার দায়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে মাকু রবিদাস (৪৭) নামে এক
আসামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে মাকুর ফাঁসি
কার্যকর হয় বলে কারাগারের এক নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন। ফাঁসি কার্যকরের
সময় মাকু স্বাভাবিক ছিলেন বলেও জানান ওই নিরাপত্তা রক্ষী।
রাত
সাড়ে ১২টায় একটি এম্বুলেন্সে করে কারাগারের ভেতর থেকে লাশ বের করে আনা হয়।
এরপর মরদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন পরিবারের সদস্যরা।
রাত পৌণে ১টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সগির হোসেন জানান, কারাবিধি অনুযায়ী মাকু রবিদাসের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। এরপর তার ছেলে মধু রবি দাসের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
রাত পৌণে ১টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সগির হোসেন জানান, কারাবিধি অনুযায়ী মাকু রবিদাসের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। এরপর তার ছেলে মধু রবি দাসের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
ফাঁসি
কার্যকরের সময় কারাগারের ভেতরে ডিআইজি (প্রিজন) তৌহিদুল ইসলাম, সেলেট
কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ছগির হোসেন, সিলেটের পুলিশ সুপার
নুরে আলম মিনা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ আমিনুর রহমান, সিলেটের সিভিল
সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান, সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার বাসুদেব বণিক
প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। মাকু রবিদাস হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার
দারাগাওয়ের সমাধনী রবিদাসের ছেলে।
সিলেটের
সিনিয়র জেল সুপার সগির হোসেন জানিয়েছেন, ২০০৩ সালের ০৯ সেপ্টেম্বর
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত নাইনকা রবিদাস হত্যা মামলায় (দায়রা
৫৭/২০০২) মাকু রবিদাসকে মত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
২০০১
সালের ৩১ অক্টোবর রাতে মাত্র ২ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রতিবেশী নাইনকা
রবিদাসকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন মাকু রবিদাস। পরবর্তীতে মাকু রবিদাস
আপিল (জেল পিটিশন নং-০৩/২০০৭) করলেও তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন
হাইকোর্ট। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানালে তাও
নামঞ্জুর হয়।
গত
১২ মে কারা অধিদফতরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফাঁসি কার্যকরের আদেশ
দিলেও পবিত্র রমজান মাস থাকায় তা কার্যকর করা যায়নি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের
জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে জল্লাদ রাজুকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা
হয়।
এরআগে ২০১১ সালে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত রবি মুণ্ডাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিলো।