স্টাফ রিপোর্টারঃ
উদ্ধার হওয়া দুই স্কুল ছাত্রী আয়শা আক্তার রিয়া ও পপি চন্দর নিখোঁজের
ঘটনা এখনোও রহস্যাবৃত রয়ে গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় জনমনে নানা চাঞ্চল্যের
সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করলেও নিখোঁজের কারণ সম্পর্কে কোন
বক্তব্য দেয়নি। ঢাকা থেকে কুলাউড়া নিয়ে আসার পর উদ্ধারকৃত দুই ছাত্রীকে
নিয়ে মিডিয়ার সামনে সংবাদ সম্মেলন করে নিখোঁজ রহস্যের ব্যাখ্যা দেওয়া হবে বলে
জানায় পুলিশ।
জানা যায়, পপি ও রিয়া নামের রাবেয়া আদর্শ সরকারী বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর দুই স্কুল ছাত্রী গত সোমবার নিখোঁজ হয়। এরপর তাদের কোন খোঁজ না পেয়ে রিয়া ও পপির বাবা কুলাউড়া থানায় দুটি পৃথক জিডি দায়ের করেন। এরপর থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। পরে কুলাউড়া রেল স্টেশনের সিসি টিভি ক্যামরোর ফুটেজে রিয়া ও পপির উপস্থিতি দেখতে পায় পুলিশ। ফুটেজে দেখা যায়, তারা দুজন সোমবার দুপুর ১টা ৩৪ মিনিটে একসাথে রিক্সায় এসে কুলাউড়া স্টেশনের সামনে নামে। এরপর তারা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে স্টেশনের প্লাটফর্মে বেশ কিছুক্ষণ সময় ঘুরাঘুরি করেছে। এসময় সরাসরি তাদের সাথে অন্য কাউকে দেখা যায়নি। মঙ্গলবার রাতে রাজধানী ঢাকার শাহজাহানপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে রাখে। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামছুদ্দোহা পিপিএম ,তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার ও এএসআই মঈন উদ্দিন ওই রাতে ঢাকার উদ্যেশে রওয়ানা দেন। সেখানে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীদেরকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার সন্ধ্যায় কুলাউড়ায় নিয়ে আসেন। কিন্তু কি কারণে নিখোঁজ কিংবা কেউ তাদের অপহরণ করেছে কিনা এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। এদিকে একই সাথে দুই সহপাঠির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অভিভবকমহলে বেশ আতঙ্ক ও উৎক›ন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ওই দুই ছাত্রীর নিখোঁজের সংবাদ প্রিয় কুলাউড়াডটকম এ প্রকাশিত হলে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তৈরী করে। এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুই ছাত্রীর নিখোঁজের সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি প্রশাসনেরও নজরে পড়ে। পরে পুলিশী তৎপরতায় তাদের সন্ধান পাওয়া যায়।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামছুদ্দোহা পিপিএম জানান, ঢাকা থেকে রিয়া ও পপিকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে।