ভূ-গাঠনিক অবস্থানের দিক থেকে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ

ভূ-গাঠনিক অবস্থানের দিক থেকে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের একদল গবেষকের গবেষণায় উঠে আসা "নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে" প্রকাশিত  তথ্যে জানা যায় ভূ-গাঠনিক অবস্থানের দিক থেকে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, বাংলাদেশের তলদেশে দীর্ঘদিন ধরে জমা হওয়া শক্তির চাপে রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার মতো শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। এর ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে এ অঞ্চলের ১৪ কোটি মানুষ।
নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এখনই বাংলাদেশ বড় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে এমন কথা বলা না গেলেও দুটি গতিশীল ভূ-গাঠনিক প্লেট পরস্পরের ওপর চেপে বসতে থাকায় সেখানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হচ্ছে।
গবেষক দলের প্রধান নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ মাইকেল স্টেকলার টমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, ওই ধরনের ভূমিকম্প কবে ঘটতে পারে, সে পূর্বাভাস আরও গবেষণা না করে দেওয়া সম্ভব নয়।
বিজ্ঞানীরাদের ধারণা,ভারতের পূর্ব অংশ ও বাংলাদেশের যে অঞ্চল সম্ভাব্য সেই ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র হতে পারে তার ১০০ কিলেমিটার ব্যাসের মধ্যে প্রায় ১৪ কোটি মানুষের বসবাস।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলছেন, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় ১৯ কিলোমিটার গভীর পলি জমে বাংলাদেশের যে ভূ-খণ্ড তৈরি হয়েছে, তা সেই ভূমিকম্পের প্রভাবে জেলাটিনের মত কেঁপে উঠতে পারে এবং কিছু কিছু জায়গায় তরলে পরিণত হয়ে গ্রাস করতে পারে ইমারত, রাস্তাঘাট আর মানুষের বসতি।
তাদের এই গবেষণায় প্রায় ৬২ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে এই ভূমিকম্পের ঝুঁকির আওতায় বলা হয়েছে।
অধ্যাপক আখতার রয়টার্সকে বলেন, তেমন মাত্রার ভূমিকম্প সত্যিই হলে তার ক্ষয়ক্ষতি এতোটাই ভয়াবহ হবে যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হয়ত বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post