স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনির বিরুদ্ধে জনৈক কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে। অপরদিকে মামলার আসামী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনিকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে ৪ জুন শনিবার দুপুরে কলেজ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছে। পরে শিক্ষার্থীরা ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানার ওসির নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে। পুরো বিষয়টি এখন টক অব দ্যা ডিষ্ট্রিকে পরিনত হয়েছে।
সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি পুর্বের একটি মামলার আপস নিষ্পত্তির সুত্র ধরে গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২ টায় উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের জনৈক গৃহবধুর (কমলা বেগম) বাড়িতে যান। জামায়াতের লোকজন রাস্তায় পেলে তাকে মেরে ফেলবে জানিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান মনি গৃহবধুর বাড়িতে রাত্রি যাপনের প্রস্তাব দেন। রাতে তিনি গৃহবধুর কলেজ পড়ুয়া মেয়ের শ্লীলতাহানী ঘটান ও ধর্ষনের চেষ্টা করেন। এঘটনায় গৃহবধু উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন জনের কাছে বিচারপ্রার্থী হলেও একজন অন্যজনের কাছে যাওয়ার কথা বলে সময় ক্ষেপন করেন।
৪ জুন শনিবার দুপুরে জুড়ী নিউ মার্কেট প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কলেজ শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন, শাহান আহমদ, এনামুল হক, রহিম উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, খালেদ মাসুদ, রিংকি দাস, শাহিদা আক্তার, রেখা রাণী দাস, ইকবাল ভুইয়া উজ্জল প্রমূখ।
এব্যাপারে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি জানান, যে মহিলা থানায় মামলা করেছেন তাকে কিংবা তার মেয়েকে তিনি চিনেন না। একটি প্রভাবশালী চক্র তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। গত কয়েকদিন আগে তার বাসায় হামলা চালিয়েছে। এরাই এ মহিলাকে দিয়ে থানায় মিথ্যা মামলা করিয়েছে।
জুড়ী থানার ওসি হামিদুর রহমান সিদ্দিকী পিপিএম জানান, প্রায় ৬ মাস আগের একটি ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনির বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে এক গৃহবধু থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে।