এস আলম সুমন: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল লাইনের কাজ শুরু হবে আগামী বছরের জুলাই মাসে। ২৭ জুন সোমবার বিকেল ৫টার দিকে কুলাউড়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন স্রিংলা ও ভারতীয় অর্থমন্ত্রণালয়ের এডিশনাল সেক্রেটারী ও উপদেষ্টা সুমিত জেরাত কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল লাইনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার দির্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা কুলাউড়া শাহবাজপুররেললাইন পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেয়। গত বছরের ২৬ মে একনেকের বৈঠকে রেললাইন চালুর জন্য ৬৭৮ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ১৩ আগস্ট ভারত-বাংলাদেশেরযৌথ চুক্তি সম্পাদন করা হয়। এর আওতায় ৪৫ কিলোমিটারমেইন লাইন ও ৭ কিলোমিটার লুপ লাইন এবং ৬টি স্টেশনসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কারের কাজ করা হবে।
এরপর প্রায় দশ মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কার কাজ শুরু না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়। এদিকে সংস্কার কাজের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় সোমবার কুলাউড়া রেলওয়েস্টেশনে পরিদর্শনে আসেন ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন স্রিংলা ও ভারতীয় অর্থমন্ত্রণালয়ের এডিশনাল সেক্রেটারী ও উপদেষ্টা সুমিত জেরাত। এসময় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান বালাজি রেল রোড সিস্টেম লিমিটেডের হেড অব কন্সালটেন্ট তপনঘোষ ও এই প্রকল্পের কন্সালটেন্ট বিনোদ শর্মা এবং প্রকল্প পরিচালক রমজান আলীর কাছে সংস্কার কাজের বিলম্ব হওয়ার কারণ জানতে চান তারা। বালাজি রেল রোড সিস্টেম লিমিটেডের হেড অব কন্সালটেন্ট তপন ঘোষ জানান, বন্যার কারণে প্রকল্পের ডিজাইন ও পরিকল্পনার এর কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে এবছরের ডিসেম্বরে ডিজাইন ও পরিকল্পনার কাজ শেষ হবে।
এই প্রকল্পের পরিচালক রমজান আলী জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ডিজাইনের কাজ শেষ হবে। এরপর দরপত্র আহ্বান করা হবে। আগামী বছরের জুলাই মাসে কাজ শুরু করা হবে।
ভারতীয় অর্থমন্ত্রণালয়ের এডিশনাল সেক্রেটারী ও উপদেষ্টা সুমিত জেরাত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রকল্পে বরাদ্দকৃত টাকা ইতোমধ্যে পাস করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আর কোন সমস্যা হবেনা। তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের জুলাই মাসে কাজ শুরু হলে পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মশকুর রহমান শিকদার, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ারুল, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহসিনা বেগম, এএসপি (কুলাউড়া সার্কেল) জুনায়েদ আলম সরকার, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামছুদ্দোহা প্রমুখ।