স্টাফ রিপোর্টার: কুলাউড়ায়
শিশু জাহিদ হোসেনকে হত্যার অভিযোগে তার সৎ মা বানেছা বেগমকে (৩৭) আটক
করেছে পুলিশ। নিজের সন্তানকে সৎ মা কর্তৃক হত্যার অভিযোগ এনে গত ২জুন
বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন জাহিদের মা রাহেলা বেগম। পুলিশ
জানায়, বানেছা বেগম পৌর শহরের দক্ষিণ লস্করপুর এলাকার বাসিন্দা ও কুলাউড়া
ডিগ্রি কলেজের দপ্তরি আছকির আলী’র প্রথম স্ত্রী। প্রায় আট বছর আগে আছকির
রাহেলা বেগম নামের আরেকজনকে বিয়ে করেন আছকির। জাহিদ দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরের
সন্তান। তিন বছর আগে আছকিরের সঙ্গে রাহেলার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে
জাহিদ তার পিতা ও সৎমায়ের কাছে থাকত। গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে জাহিদ নিখোঁজ
হয়। পরদিন বুধবার সকালে উত্তর লস্করপুর এলাকায় গোগালিছড়া নদীতে জাহিদের
ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর
হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে। ওই দিন পুলিশ জাহিদের বাবা আছকির ও
সৎ মা বানেছাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এদিকে জাহিদের মা রাহেলা তার
ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করলে থানার এস আই
দিদারউল্ল্যা শুক্রবার বানেছা বেগমকে আটক করে। পুলিশ আরও জানায়, বানেছা
বেগম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে সে জাহিদকে হত্যা করেছে।
রাহেলা জানান, তাঁর প্রাক্তন স্বামী আছকিরের প্রথম স্ত্রী বানেছার ঘরে একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে রয়েছে। সম্পত্তির লোভে জাহিদের ওপর প্রায়ই নির্যাতন চালাতেন। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তার ভাই বোনদের সাথে খেলা করছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। বানেছা বাচ্চাদের ঝগড়া-চিৎকার শুনে এসে জাহিদকে ধরে নিয়ে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে জাহিদ মারা গেলে তাকে নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
তবে বানেছা বেগম তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জাহিদ মঙ্গলবার বিকেলে ক্উাকে কিছু না বলে বাইরে চলে যায়। এরপর থেকে তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। পরদিন তাকে নদীতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এব্যাপারে জানতে শুক্রবার সন্ধ্যায় আছকির আলীর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
কুলাউড়া থানার এসআই দিদার উল্ল্যা বলেন, জাহিদের মা রাহেলা বেগমের দায়েরকৃত মামলায় বানেছাকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
#পুর্বের নিউজ--- কুলাউড়ায় শিশুর ভাসমান লাশ উদ্বার
রাহেলা জানান, তাঁর প্রাক্তন স্বামী আছকিরের প্রথম স্ত্রী বানেছার ঘরে একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে রয়েছে। সম্পত্তির লোভে জাহিদের ওপর প্রায়ই নির্যাতন চালাতেন। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তার ভাই বোনদের সাথে খেলা করছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। বানেছা বাচ্চাদের ঝগড়া-চিৎকার শুনে এসে জাহিদকে ধরে নিয়ে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে জাহিদ মারা গেলে তাকে নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
তবে বানেছা বেগম তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জাহিদ মঙ্গলবার বিকেলে ক্উাকে কিছু না বলে বাইরে চলে যায়। এরপর থেকে তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। পরদিন তাকে নদীতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এব্যাপারে জানতে শুক্রবার সন্ধ্যায় আছকির আলীর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
কুলাউড়া থানার এসআই দিদার উল্ল্যা বলেন, জাহিদের মা রাহেলা বেগমের দায়েরকৃত মামলায় বানেছাকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
#পুর্বের নিউজ--- কুলাউড়ায় শিশুর ভাসমান লাশ উদ্বার