স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়া-বিজয়া সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার কাজের অভাবে খানা-খন্দ হয়ে জনসাধারণের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। কুলাউড়া বিছরাকান্দি থেকে বিজয়াবাজার পর্যন্ত সরু রাস্তাটির ৩ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ৮টি মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ বাঁক। এই বাঁকগুলোতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তারপরও চালকেরা জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে গাড়ি চালায়। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার বা কোন ধরনের তদারকি না থাকায় রাস্তার বিভিন্ন স্থানে দু’পাশের জায়গা দখল করে নিয়েছেন অনেকেই। এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রীজগুলোর সম্মুখভাগ দেবে যাওয়ার ফলে গাড়িচলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রাস্তার দু’পাশের জায়গা দখল করে নিজের স্বার্থে বাঁশ, গাছ লাগিয়ে রেখেছেন। দখল আর পার্শ্ব ভাঙার ফলে রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়ায় দু’টি গাড়ি যাওয়া-আসার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। নিরূপায় হয়ে যাত্রীরা প্রতিদিন মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁকুনি খেতে খেতে কুলাউড়া শহরে যাচ্ছেন। এমতাবস্তায় শ্রীঘ্রই সংস্কার কাজ করা না হলে এ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এ সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণের নিত্য দিনের এই ভোগান্তি লাঘবে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
অন্যদিকে রাস্তা খারাপের অজুহাতে যাত্রী সাধারণকে ১০ টাকার স্থলে ভাড়া দিতে হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যারাত হলেই তা হয়ে যায় দ্বিগুণ! ১০ থেকে ১৫ মিনিটের স্থলে সময় ব্যয় হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান এই এলাকারই সন্তান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন এমপি নির্বাচিত হওয়ায় মানুষের মনে একটি আশার সঞ্চার হয়েছিল যে, অন্তত এই কুলাউড়া-বিজয়া রাস্তাটি সংস্কার হয়ে বড় করা হবে। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার ২ বছরেরও অধিক সময় অতিবাহিত হলেও নিজ এলাকার মানুষের যাতায়াতের রাস্তাটির কোন উন্নয়ন হয়নি। এ নিয়ে অত্রাঞ্চালের মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি গত বছরের ন্যায় এবারো বলেন, খুব শ্রীঘ্রই রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।
সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জয়চন্ডী ইউনিয়নের অন্যান্য রাস্তাগুলোতে কাজ চলছে, ধারাবাহিকভাবে বিজয়া-কুলাউড়া রাস্তার কাজ শুরু করা হবে।