ডেস্ক নিউজঃ
তারাগঞ্জ উপজেলার ১৩ মাইল এলাকায় দুটি বাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ১২ জন
নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কে এ
দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত প্রায় ৪০ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে
জানা গেছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও দুইজন নারী। তাঁদের পরিচয়
এখনো পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে তারাগঞ্জের ওকডাবাড়ি ফারুকিয়া দাখিল
মাদ্রাসার একজন সহকারী শিক্ষক আছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। দুই
বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত এক যাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হচ্ছে। ছবিটি আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে
তোলা। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারাগঞ্জের
১৩ মাইল এলাকায় সৈয়দপুর থেকে রংপুরগামী তৃপ্তি পরিবহনের একটি বাস ও
কুমিল্লা থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুরগামী সায়মুন পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষ
হয়। এতে বাস দুটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আহত ব্যক্তিদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। লাশগুলো রংপুর
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সৈয়দপুর ও রংপুর ফায়ার
সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ায়
বাসগুলো কেটে কয়েকজনের লাশগুলো বের করা হয়েছে। রংপুরের জেলা প্রশাসক
রাহাত আনোয়ার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিলুফা সুলতানা,
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিয়াসহ প্রশাসনেরা
কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি আবদুল লতিফ মিয়া প্রথম আলোকে
বলেন, স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা
চালাচ্ছেন। নিহত ১২ জনের লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো
হয়েছে।