মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে জনজীবন

মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে জনজীবন
নিউজ ডেস্কঃ সবজি উৎপাদনে অতি মাত্রায় রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহারে মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। গবেষকরা বলছেন, শুধু উৎপাদন বাড়ানো নয়, নজর দিতে হবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে। প্রতি বছর দেশে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টন বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করা হয়। এসব উৎপাদনে বছরে বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক বিষ আমদানি করা হয় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে মেশানো হয় ক্ষতিকর ডিডিটি কীটনাশকও। ফলে কৃষকের স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি মানুষের বংশ পরম্পরা পর্যন্ত এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এক্ষেত্রে সরকারের নজরদারীর পাশাপাশি সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইক্যুইটিবিডি'র গবেষক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘উৎপাদন পর্যায়ে কীটনাশক ছাড়া কিভাবে নিরাপদ তরিতরকারি, ধান, শস্য উৎপাদন করা যায় এ ব্যাপারে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষিত করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।’ নিরাপদ খাদ্য হিসেবে চাই পুষ্টিকর খাবার। তাই চাষযোগ্য জমির মাটি এবং এতে ব্যবহার করা উপকরণসমূহ স্বাস্থ্যসম্মত কিনা, তাও পরীক্ষা করার পরামর্শ কৃষিবিদদের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান বলেন, 'মাঠে ফসল উৎপাদন করার ক্ষেত্রে ওই জমিতে আগে থেকেই মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোন উপাদান রয়ে গেছে কিনা, বিশেষ করে সংগৃহীত ফসলের মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদানের কোন অবশেষ থাকছে কিনা সেই বিষয়গুলো নিশ্চিত হতে হবে।' অন্যদিকে ইউরোপের বাজারগুলোর মতো সবজি বাজারজাতকরণে দেশেও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন বলছেন গবেষকরা। এক্ষেত্রে সামর্থ্যের অভাব থাকলেও সরকারের উদ্যোগ রয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। ইক্যুইটিবিডি'র গবেষক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এখানে অর্গানিক ফুড তৈরি হলেও সেটার সার্টিফিকেশন সিস্টেম নেই। গভর্নমেন্ট এজেন্সি গঠন করে সেই সার্টিফিকেশন সিস্টেম করতে হবে।’ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্যের দিক থেকে যে ঘাটতি রয়েছে যেমন পরীক্ষাগার, দক্ষ জনবল, এগুলোর ক্ষেত্রে সরকার ইতোমধ্যেই মনোযোগ দিয়েছে।’ পরিবেশ ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে বিশ্বজুড়েই আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারপরও ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণে যথাযথ মান যাচাই-বাছাই না করেই বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করেই যাচ্ছে কৃষকরা। তবে সুস্থ জীবনের জন্য সর্বত্র নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

Post a Comment

Previous Post Next Post