ছকাপন রেলওয়ে স্টেশনের বিদ্যুতায়ন ও আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে

 ছকাপন রেলওয়ে স্টেশনের বিদ্যুতায়ন ও আধুনিকায়ন প্রসঙ্গেঃ
সৈয়দ আব্দুল হামিদ মাহফুজঃ ঢাকা-সিলেট রেলরুটের মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত ছকাপন রেলওয়ে স্টেশনটি আনুমানিক ১৯৭৫-৭৬ সালে স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো উন্নয়নের দেখা পায়নি এই অবহেলিত স্টেশনটি।ব্যাপারটা আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, জনগুরুত্ত্বপূর্ণ এই পাবলিক স্থানে নেই কোনো বিদ্যুৎ!স্টেশনে বিদ্যুতায়নের না থাকার কারণে রাতের লোকাল ট্রেনগুলো অনেকসময় অন্ধকারের কারণে স্টেশনে না থেমে রেলক্রসিং অতিক্রম করে চলে যায়। পরে ট্রেন চালক ট্রেনটি আবার স্টেশনে ফিরিয়ে এনে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে যায়। পুরো স্টেশন এলাকাটি অন্ধকারের কারণে ট্রেন থেকে যাত্রীরা ঠিকমতো উঠানামা করতে পারে না।এ ব্যাপারে ছকাপন এলাকাবাসী কাদিপুর ও ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সুপারিশসহ গণস্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত দরখাস্ত ইতিমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে বরাবর করেছে। কিন্তু তারা এখনো পর্যন্ত কোনো ফল পায়নি।ছকাপন রেলস্টেশনটি কাদিপুর ও ভুকশিমইল ইউনিয়িনের সীমান্ত এলাকায় পড়ার কারণে উভয় এলাকার জনসাধারণ এই স্টেশন ব্যাবহার করে। এছাড়া এলাকার সকল ছাত্রছাত্রী স্টেশনটি ব্যাবহার করে খুব সহজেই কুলাউড়া ও সিলেটে যাতায়াত করতে পারে।এছাড়া স্টেশনটিতে কোনো প্লাটফর্ম না থাকার কারণে যাত্রীরা ট্রেন থেকে উঠানামা করার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন।স্টেশনে কোনো টেলিফোন সংযোগ না থাকার কারণে যাত্রীরা ট্রেনের নির্দিষ্ট কোনো শিডিউল জানতে পারে না।স্টেশনের ভিতর যাত্রীদের ট্রেনের অপেক্ষা করার জন্য নেই কোনো উন্নত মানের বসার জায়গা। স্টেশনে যাত্রীদের জন্য শৌচাগারেরও কোনো ব্যাবস্থা নেই।ছকাপন বাজার থেকে স্টেশন পর্যন্ত নেই কোনো সংযোগ সড়ক।স্টেশন এলাকায় স্টেশনমাস্টারের থাকার জন্য নেই কোনো ভালো কোয়ার্টার। স্টেশনটি দেখভালের জন্য তেমন কোনো রেলওয়ে জনবল নেই। ফলে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হন।এই রুটের মোটামুটি সব স্টেশনে কমিউটার ডেমো ট্রেন থামলে ছকাপন রেলস্টেশনে ডেমোর কোনো স্টপেজ নেই। এনিয়ে স্টেশন যাত্রীরা খুব হতাশ।স্টেশনটি সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের অভাবে আজ হুমকির সম্মুখীন। যাত্রীরা পর্যাপ্ত সেবা না পাওয়ার কারণে আস্তে আস্তে স্টেশন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। যারফলে বাংলাদেশ রেলওয়ে কিছুটা হলেও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এই স্টেশনটি বর্তমানে ডি গ্রেডে আছে। রুটের সব লোকাল ট্রেন এখানে নিয়মিত থামায়।বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অত্র এলাকার মানুষের প্রাণের দাবী- নাগরিক দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে যেনো ছকাপন রেলওয়ে স্টেশনকে বি গ্রেডে উন্নীত করে আধুনিকায়নের সকল ব্যবস্থা করা হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post