বড়লেখায় বিজিবির বিরুদ্ধে আটক কাঠ বিক্রির অভিযোগ

বড়লেখায় বিজিবির বিরুদ্ধে আটক কাঠ বিক্রির অভিযোগ
বড়লেখা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের লাতু বিজিবি সদস্যরা গত শুক্রবার রাতে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার অবৈধ কাঠ উদ্ধার করেছে। রাতের আধাঁরে উদ্ধারকৃত কাঠগুলো স্থানীয় রেঞ্জ অফিসে জমা দিলেও আটক অবৈধ কাঠের বিপুল অংশ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে। বিজিবি ও বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিজিবি ৫২ ব্যাটেলিয়নের লাতু কোম্পানী কমান্ডার নায়েক সুবেদার আলতাফ আলীর নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা শুক্রবার রাতে উপজেলার শাহবাজপুর ইউপির বড়াইল পাহাড়ি এলাকা থেকে মেনজিয়াম ও আকাশমনি প্রজাতির বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ উদ্ধার করেন। পরে রাতের আধাঁরে বিজিবি সদস্যরা পিকআপ ভ্যানে উদ্ধারকৃত অবৈধ কাঠগুলো বড়লেখা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে জমা দিয়ে বন আইনে মামলা রুজু করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন অফিসে জমা দেয়ার পর বিজিবি আটক কাঠের বেশ কয়েক টুকরো পিকআপ ভ্যানে করেই ফেরত নিয়ে যায়। একটি সূত্র জানায় ফেরৎ নেয়া কাঠগুলো বিজিবি সদস্যরা বিক্রি করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে বড়লেখা সহকারী রেঞ্জার শেখর রঞ্জন দাস জানান, লাতু বিজিবি সদস্যরা শুক্রবার রাতে ৮১ টুকরো (১২৮.৪১ ঘনফুট) অবৈধ কাঠ তার অফিসে জমা দিয়েছে। রোববারও নয়াগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক রেজাউল হাসান ৪০ টুকরো অবৈধ কাঠ বন অফিসে জমা দিয়ে বেনামী মামলা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে রোববার রাত ৭টায় বিজিবির ৫২ ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. নিয়ামুল কবির অবৈধ কাঠ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কাঠগুলো সীমান্তের জিরো লাইনে মালিকবিহীন অবস্থায় পাওয়া গেছে। আটক অবৈধ কাঠের বিপুল অংশ বিজিবি সদস্যরা বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা গুজব। কাঠ আটকের পর তদবির এসেছিল। তদবির না রাখায় এমন অপপ্রচার করা হচ্ছে।’

Post a Comment

Previous Post Next Post