অগ্রিম বৃষ্টিপাতে সতেজ মৌলভীবাজারের চা বাগানগুলো

অগ্রিম বৃষ্টিপাতে সতেজ মৌলভীবাজারের চা বাগানগুলো
স্টাফ রিপোর্টারঃ অনুকূল আবহাওয়া ও অগ্রিম বৃষ্টিপাতে সতেজ হয়ে উঠছে মৌলভীবাজারের চা-বাগানগুলো। কচি পাতার সবুজ রঙে বদলে গেছে বাগানের দৃশ্য। চা-পাতা তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চা-শ্রমিকরা। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে রেকর্ড পরিমাণ চায়ের উৎপাদন আশা করছেন বাগান মালিকরা। মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে যতদূর চোখ যায় কেবল সবুজ আর সবুজ। অনুকূল আবহাওয়া ও অগ্রিম বৃষ্টিপাতে বদলে গেছে চা-বাগানের দৃশ্য। কচি পাতায় রঙ লেগে পরিণত হয়েছে সবুজ গালিচায়। এতে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে চা-শ্রমিকদের। বাগানে বাগানে দলবেঁধে চা-পাতা সংগ্রহ করছেন তারা। বাগান থেকে চা-পাতা সংগ্রহের পর সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় ফ্যাক্টরিতে। সেখানে বাছাই করে প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে তৈরি হয় চা। বাগান মালিকরা বলছেন, উৎপাদন ভালো হলেও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাজারে নিম্নমানের চা ঢুকে পড়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। বাগান মালিক সৈয়দ মনসুরুল হক বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাজারে যে পরিমাণের নিম্নমানের চা আসে সেটি বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের চায়ের মূল্য সেই দাম থেকে অনেক কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এই জন্য ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের।’ বাংলাদেশ চা সংসদ চেয়ারম্যান জিএম শিবলী বলেন, ‘অন্য বছরের তুলনায় এই বছরের শুরুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে এই বছরে কচি-পাতার সবুজ রঙে বদলে গেছে বাগানের দৃশ্য। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে রেকর্ড পরিমাণ চায়ের উৎপাদন সম্ভব।’ গত বছর দেশে ৬ কোটি ৭৪ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন আশা করছে চা বোর্ড।

Post a Comment

Previous Post Next Post