জুড়ীতে টিলায় ফাটল, আতঙ্কে ২০০ পরিবার

জুড়ীতে টিলায় ফাটল, আতঙ্কে ২০০ পরিবার
স্টাফ রিপোর্টারঃ কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভজিটিলায় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই টিলার নিচে থাকা অন্তত ২০০ পরিবার মারাত্মক ঝুকিঁর মধ্যে বাস করছে। টিলার মাটি কেটে বিক্রি করায় একই টিলার কালীনগর এলাকায়ও কয়েকটি বাড়ি ঝুকিঁর মুখে পড়েছে। এলাকাবাসী জানায়, জায়ফরনগর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম, মনতৈল ও কালীনগর জুড়ে এই টিলার অবস্থান। সাত-আট দিনের টানা বৃষ্টিপাতে গুচ্ছগ্রাম এলাকায় টিলার মাঝামাঝি ফাটল তৈরী হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গুচ্ছগ্রাম এলাকায় পাচঁ ফুট বাই সাত ফুট অংশজুড়ে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এর আশপাশে আরো ছোট ছোট ফাটল দেখা যায়। টিলার নিচে ঘনবসতি রয়েছে। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মোবারক আলী বলেন, “প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে টিলাটি একটু একটু করে ধসে পড়ছে। বড় ফাটল দেখা দেয়ায় আমরা আতঙ্কিত।” টিলার নিচে টিন-বাঁশ দিয়ে তৈরি ঘরে বসবাসকারী দিনমজুর পারভীন বেগম বলেন, “রাতে ঘুম আসে না, ভয়ে থাকি। যে কোনো সময় টিলা ধসে পড়তে পারে।” স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এলাকার কিছু দরিদ্র লোক প্রতিদিন টিলার বিভিন্ন স্থানে মাটি খুঁড়ে ছোট ছোট পাথর বের করে তা বিক্রি করে। বৃষ্টিতে খোঁড়া অংশ দিয়ে মাটি ধসে পড়ে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। কালীনগর গ্রামে টিলার উপর ও নিচে কমপক্ষে ২৫-৩০টি বসতবাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, এলাকার কিছু লোক টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছে। প্রায় রাতে ট্রাকে করে মাটি বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। মাটি বহনকারী ট্রাকের চাপে গ্রামের পাকা সড়ক ও কালভার্ট ভেঙে যাচ্ছে।  জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রকিব আহমদ বলেন, “মাটি কেটে ও পাথর খুঁড়ে বিক্রি করার কারণে ভজিটিলার এই অবস্থা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান বলেন, “ভজিটিলায় ফাটলের তথ্যটি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

Post a Comment

Previous Post Next Post