বিমান ছিনতাই সঙ্কটের অবসান, হোতা গ্রেপ্তার

বিমান ছিনতাই সঙ্কটের অবসান, হোতা গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক: বোমার ভয় দেখিয়ে একটি মিশরীয় বিমান ছিনতাইয়ের পাঁচ ঘণ্টা পর সাইপ্রাসের এক বিমানবন্দরে আত্মসমর্পণ করেছেন সেই ছিনতাইকারী। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাইপ্রাসের টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, দুই হাত উপরে তুলে বিমান থেকে বেরিয়ে আসছেন তিনি। এর পরপরই সাইপ্রাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক টুইটে বলেন, ‘ছিনতাই সঙ্কটের অবসান ঘটেছে।’ ওই বিমানের সাত ক্রুসহ ৮১ আরোহীর অধিকাংশকে আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন সেই ছিনতাইকারী। বিমানের সব আরোহী নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন মিশরের সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রী শেরিফ ফাথি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, ছিনতাইকারী একজন মিশরীয় নাগরিক। নাম সেইফ এলদিন মুস্তাফা। বিমান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন মিশরের প্রধানমন্ত্রী শেরিফ ইসমাইল৷ কর্তৃপক্ষ সেটি জানার চেষ্টা করবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি৷ ‘একসময় সে (ছিনতাইকারী) ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছে। আবার আরেকসময় অন্য বিমানবন্দরে যেতে চেয়েছে৷ তবে নির্দিষ্ট করে সে কিছু বলেনি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল। ছিনতাইকারী আত্মসমর্পণ করার ঘণ্টা দুই আগে সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস আনাস্তাসিয়াদেস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা সন্ত্রাসবাদ জাতীয় কোনো ঘটনা নয়।’ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় আলেকজান্দ্রিয়া থেকে রওনা হয়ে কায়রো যাওয়ার পথে ছিনতাই হয় ইজিপ্টএয়ারের অভ্যন্তরীণ রুটের এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের বিমানটি। ছিনতাইকারী বিমানটিকে সাইপ্রাসে নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর লারনাকার বিমানবন্দরে নামতে বাধ্য করে। ওই বিমানের পাইলট ওমর আল-জামালের বরাত দিয়ে মিশরের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে থেকেই একজন উঠে এসে বিস্ফোরক বেল্ট দেখিয়ে হুমকি দেয় এবং লারনাকায় নামতে বাধ্য করে। অবশ্য সেই ছিনতাইকারীর বেল্টে সত্যিই বিস্ফোরক ছিল কি না- তা নিশ্চিত করতে পারেননি সাইপ্রাসের কর্মকর্তারা।

Post a Comment

Previous Post Next Post