জুড়ীতে গোয়ালবাড়ী স্কুলে মিড ডে মিলের উদ্বোধন

জুড়ীতে গোয়ালবাড়ী স্কুলে মিড ডে মিলের উদ্বোধন
জুড়ী প্রতিনিধিঃ শিশুদের স্কুলমুখী করা, ঝরে পড়া রোধ করা, শতভাগ ভর্তি ও শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করা, লেখাপড়ায় মনোযোগী ও পুষ্টিহীনতা দূর করাসহ শিক্ষার মানোন্নয়নে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মিড ডে মিল (দুপুরের খাবার) চালু করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান। ২৫ ফেব্রুয়ারি উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান গুলশান আরা চৌধুরী মিলি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক আজির উদ্দিন, গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহমদ লেমন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রাক্তন উপ-পরিচালক অরবিন্দ সেন গুপ্ত, এমইউ শিক্ষাসেবা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সুমন। উদ্বোধনী দিনে মিড ডে মিল হিসেবে শিক্ষার্থীদের খিচুড়ি, সবজি, ডাল ও ডিম দেওয়া হয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মিড ডে মিল পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করে। ওইদিন উৎসবের আমেজে চলছিল স্কুলে দুপুরের খাবার কর্মসূচি। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও এই কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এক প্রতিক্রিয়ায় মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান বলেন, মিড ডে মিল যে স্কুলে চালু হচ্ছে সেই স্কুলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমে আসছে। স্কুলগুলোতে মিড ডে মিল চালু করতে ও চালু রাখতে সমাজের বিত্তবান, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গদের এগিয়ে আসতে হবে। গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহমদ লেমন বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসন, বিত্তবান, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর স্বপ্রণোদিত দান-অনুদান নিয়ে সব সময় শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করবো। কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, শিশু শিক্ষার্থীরা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় প্রায় ৫ ঘণ্টা এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় প্রায় ১০ ঘণ্টা না খেয়ে বিদ্যালয়ে অবস্থান করে থাকে। এজন্য প্রতিদিন শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে এই মিড ডে মিল বিভিন্নভাবে সহায়তা করবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post