স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়ার শরীফপুর সীমান্ত থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন বাংলাদেশী হিরা মিয়া (৬০) কে সীমান্তে কাটাতারে হাত দেয়ায় গত ৩ জানুয়ারি ভারতীয় বিএসএফ ধরে নেয়। বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে অমানসিক নির্যাতন করে পরদিন সীমান্তের কাটাতারের বেড়া কাটার চেষ্টার অভিযোগে মামলা দিয়ে ভারতীয় পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আদালতে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণিত হলে আটকের ৩২ দিন পর শুক্রবার (৫ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টায় বিএসএফ হিরা মিয়াকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করে। জানা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীন হিরা মিয়ার বাড়ি শমশেরনগর ইউনিয়নের মরাজানের পার গ্রামে। পুশ ব্যাক হয়ে আসা আসা হিরা মিয়া জানান, ‘আমি অসুস্থ্য মানুষ। বিএসএফ সেখান থেকে ধরে নিয়ে যায়। ক্যাম্পে নিয়ে বন্দুকের দিয়ে আঘাত করে উপরের দুইটি দাঁত ভেঙ্গে দেয়। কারেন্টের শর্ট দিয়ে বাম পায়ের তলা পুড়িয়ে দেয়।’ হিরা মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়া বলেন, বিএসএফ ৩ জানুয়ারি তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। বিএসএফ সদস্যরা অমানসিক নির্যাতন করে পরদিন ৪ জানুয়ারি মিথ্যে অভিযোগে ত্রিপুরার উনকোটি জেলার কৈলাসহর থানায় মামলা দেয়। পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তার বাবাকে কৈলাসহর কারাগারে প্রেরণ করে। জাবেদ মিয়া আরও বলেন, বিএসএফ’র শরীরিক নির্যাতনে তার বাবা এখন বেশ অসুস্থ। সীমান্তে আত্মীয়ের সুবাদে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে শরীফপুরের আমতলা বাজার থেকে বাবাকে গ্রহণ করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে এসেছেন।
এদিকে হিরা মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তার চিকিৎসা সম্পর্কিত ও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র পাঠিয়ে ভারতে আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করা হয়। ভারতে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ভারতীয় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে ইরা মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণিত হলে শুক্রবার কৈলাসহর আদালত তাঁকে ছেড়ে দেয়। পরে ১৮৬২ নং সীমান্ত খুঁটি (যেই স্থান দিয়ে ধরে নেয়) এলাকা দিয়ে অতি গোপনে আবার পুশ ব্যাক করে বাংলাদেশে ফেরৎ দিয়েছে বিএসএফ সদস্যরা।
শরীফপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার রফিকুর ইসলাম পুশ ব্যাকের কথা জানেন না বলে জানান। তিনি বলেন ৩ জানুয়ারির পর থেকে ইরা মিয়াকে ফেরৎ দিতে কয়েক দফা বৈঠক করে বিএসএফে’র উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল।
এদিকে হিরা মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তার চিকিৎসা সম্পর্কিত ও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র পাঠিয়ে ভারতে আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করা হয়। ভারতে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ভারতীয় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে ইরা মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণিত হলে শুক্রবার কৈলাসহর আদালত তাঁকে ছেড়ে দেয়। পরে ১৮৬২ নং সীমান্ত খুঁটি (যেই স্থান দিয়ে ধরে নেয়) এলাকা দিয়ে অতি গোপনে আবার পুশ ব্যাক করে বাংলাদেশে ফেরৎ দিয়েছে বিএসএফ সদস্যরা।
শরীফপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার রফিকুর ইসলাম পুশ ব্যাকের কথা জানেন না বলে জানান। তিনি বলেন ৩ জানুয়ারির পর থেকে ইরা মিয়াকে ফেরৎ দিতে কয়েক দফা বৈঠক করে বিএসএফে’র উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল।