হাকালুকি হাওরে শুরু হচ্ছে পাখি শুমারি

হাকালুকি হাওরে শুরু হচ্ছে পাখি শুমারি
স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দু’দিনব্যাপী জলচর পাখি শুমারি। এদিকে রবিবার ৬ দিনব্যাপী পাখির পায়ে রিং লাগানো (রিংগিং ক্যাম্প) শেষ হয়েছে। গত বছর রিং লাগানো ৩০টি পাখি হাকালুকিতে ফিরে এসেছে বলে জানান রিংগিং ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীরা। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক, তার ক্লাবের সদস্য এবং দেশি-বিদেশি পাখি বিশেষজ্ঞবৃন্দ ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি দু’দিনের পাখি শুমারিতে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দু’দিনব্যাপী হাকালুকি হাওরে জলচর পাখি শুমারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুরো হাকালুকি হাওরকে ৪ ভাগে ভাগ করে তার দুটি ভাগে প্রথম দিন (যুধিষ্টিপুর ও হাল্লা পথে) এবং দ্বিতীয় দিন পরবর্তী দুটি ভাগে (কালনীগড় ও কাংলী পথে) যেসব বিল রয়েছে সেগুলোতে শুমারি করা হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘হাকালুকি হাওরের সাথে একযোগে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরেও পাখি শুমারির কাজ চলছে। এর আগে উপকূলীয় অঞ্চলে পাখি শুমারি শেষ করে এসেছেন। সেখানে ৭৪ প্রজাতির ৩১ হাজার পাখি গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিযায়ী পাখি ৫৭ প্রজাতি এবং দেশিয় ১৭ প্রজাতির পাখি রয়েছে।’ এদিকে পাখি শুমারি শুরু হওয়ার আগে গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬ দিনব্যাপী পর্যন্ত হাকালুকি হাওরে আসা পরিযায়ী পাখিদের পায়ে রিং লাগানো হয়। এবার ১৫ প্রজাতির সাড়ে ৩শ’ পরিযায়ী পাখির পায়ে রিং লাগানো হয়। গত বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে ৩৩ প্রজাতির ৩৭০টি পরিযায়ী পাখির পায়ে রিং লাগানো হয়েছিল।

এবার ক্যাম্প চলাকালে গত বছরের রিং লাগানো ৩০ টি পাখি পাওয়া গেছে। যারা সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে ফেরত এসেছে বলে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক জানান। তিনি আরও জানান, ‘এবার ক্যাম্প চলাকালে বিরল প্রজাতির ঝাড়ফুটকি (বুশ ওয়ারব্লেয়ার) পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে।’

প্রসঙ্গত, দেশের যেসকল স্থানে অতিথি পাখি সমাগম ঘটে হাকালুকি হাওর তাদের অন্যতম। দু’দিনব্যাপী পাখি শুমারিতে আর্থিক সহায়তা করছে ইউএসএআইডি’র ক্রেল প্রকল্প।

Post a Comment

Previous Post Next Post