স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক

স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক
খ ক জাফরঃ "সরকার ও জনগনের যৌথ প্রচেস্টায় আমাদের স্বাস্থ্য আমরাই নিশ্চিত করবো" প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে "আরসিএইচসিআইবি" প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো বর্তমান সরকার সচল করে ২০১১ সালে। প্রতিটা কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মী নিয়োগ ও সরকারী ভাবে প্রায় ৩০ প্রকার ওষুধ সরবরাহ করে। কুলাউড়া উপজেলা চালুকৃত ৩৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে এবং ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি ৩৭ জন । কর্মরত প্রোভাইডার কর্মীরা সপ্তাহে ৬দিন, স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান সহকারী সপ্তাহে ৩ দিন আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আগে চিকিৎসার জন্য রোগিদের পরিবহন খরচ বহন করে উপেজলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে যেতে হতো, সামান্য সমস্যায় বাজারের যে কোন পল্লী চিকিৎসকের কাছে গেলে ওষুধের জন্য ১০০/২০০ টাকা খরচ করতে হতো। বর্তমান কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো সচল থাকায় সেই সকল রোগের ঔষুধ বিনামূল্যে রোগিরা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগিদের মধ্যে মহিলা, গর্ভবতী মা, প্রসূতি মা ও নবজাতকের সংখ্যাই বেশি । ক্লিনিকে সাধারণ ওষুধ , এন্টিবায়োটিক ও শিশুদের ওষুধের যে পরিমান চাহিদা তার তুলনায় সরবরাহ খুবই কম। ফলে প্রতি দুই মাসের শিশুদের জন্য বরাদ্দ ঔষধ মাত্র ১/২ সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যায় বলে প্রোভাইডাররা জানান ।
কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্য সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ২০১১ সালের ১৫ নভেম্বর কুলাউড়ার মোবারকপুর কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনে আসেন এবং গ্রামীন পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবার এই বিপ্লবের ভূয়সী প্রসংশা করেন। উল্লেখ্য কমিউনিটি ক্লিনিকে নিরাপদে স্বাভাবিক ডেলিভারি সর্বপ্রথম মোবারকপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে করা হয় । ইতিমধ্যে বিশ্বের কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করছেন এবং নিজ দেশে তা স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন।   এদিকে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন যারা সেই সিএইচসিপি কর্মীরা ভালো নেই। তারা নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছে না, নেই ইনক্রিমেন্ট, তাদের চাকুরীও রাজস্ব খ্যাতে অর্ন্তভূক্ত করা হচ্ছে না। এসব কারণে প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হতাশা। সিএইচসিপি কর্মীরা তাদের চাকুরি রাজস্ব খ্যাতে অর্ন্তভূক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্ররী আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।

Post a Comment

Previous Post Next Post