![]() |
| নাড়ির টানে বাড়ির পানে ছুটে চলা |
নিউজ ডেস্কঃ আর মাত্র একদিন পরই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আর তাই নাড়ির টানে বাড়ির পানে ছুটছে ঘরমুখো উৎসবপ্রিয় মানুষ। পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদ করতে বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই নাই। বুধবার সকাল থেকেই কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালগুলোতেও একই অবস্থা। রাজধানী ছেড়ে দক্ষিণবঙ্গে যাওয়ার উল্লেখযোগ্য লঞ্চ টার্মিনাল সদরঘাটে যাত্রীদের ভিড়ের কারণে হেঁটে চলাচল করাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ঘরমুখো মানুষের চাপে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। মিরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আসলাম হোসেন ব্রেকিংনিউজকে জানান, 'আমি বরিশাল যাব। যা ভাড়া তার চেয়েও বেশি দামে টিকেট করতে হচ্ছে। প্রত্যেক বছর ঈদ আসলেই এ রকম অবস্থার সৃষ্টি হয়। আমরা সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ি।' এদিকে মঙ্গলবার কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাওয়া সবকটি ট্রেনেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ট্রেনের ভেতরে পা ফেলার জায়গা নেই-ই, ছাদ, ইঞ্জিন, দুবগির সংযোগস্থলে কোথাও ফাঁকা নেই। তবে সবকটি ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ের পরে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোর চিত্রও একই রকম। মহাসড়কে যানবাহনের ভিড় থাকায় অনেক বাস আসতে দেরি করায় সিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামগামের যাত্রী হাসানুর রহমান। তিনি ব্রেকিংনিউজকে জানান, তার বাস ১০টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সে বাসটি না আসায় তা ১ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। তারপরও তিনি অনেক খুশি যে কয়েক ঘণ্টা বাদেই দেখতে পাবেন তার সেই প্রিয় মুখগুলো। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহাগ হোসেন ব্রেকিংনিউজকে জানান, তিনি সান্তাহার যাবেন। আর সেজন্য তিনি সকাল ৭টায় এখানে এসেছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন প্লাটফর্মে এসে দাঁড়াবে। তিনি অধীর আগ্রহে বসে আছেন কখন তার সেই প্রিয় মুখগুলো দেখতে পাবেন। আনন্দ ভাগাভাগি করতে যেন ঘরে ফেরার যুদ্ধে নেমেছেন রাজধানীতে থাকা এসব ঘরে ফেরা মানুষ। নাড়ির টানে এসব মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন নির্দিষ্ট বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে। বাড়ি ফেরার আনন্দই অন্যরকম সে রকমই একটা আনন্দ বিরাজ করছে এসব যাত্রীদের মাঝে। বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ ট্রেন পরিচালনা শুরু হয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আর তা চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ঈদের পর ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত রেলওয়ের বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জে স্পেশাল, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে ২টি চাঁদপুর স্পেশাল, পার্বতীপু-ঢাকা-পার্বতীপুর রুটে পার্বতীপুর স্পেশাল এবং খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে খুলনা স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। সব বাধা বিপত্তি দূর করে যখন রাজধানীবাসী ঘরে ফেরার যুদ্ধে নেমেছেন তখন যেন এ যুদ্ধ কান্নার কারণ না হয় এমনটাই আশা করছেন এসব ঘরমুখো মানুষেরা।
