![]() |
আয়লানের স্মরণে অভিনব বিক্ষোভ |
অনলাইন ডেস্কঃ সিরীয় শিশু আয়লানকে নিয়ে আলোচনা আর ক্ষোভ যেন আর থামছেই না। সোমবার ওই শিশুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি মূর্তি তৈরি করেছে ফিলিস্তিনিরা। পাশাপাশি একটি অভিনব বিক্ষোভের আয়োজন করে মরক্কো ও ফিলিস্তিনির অধিবাসীরা। খবরে বলা হয়, সোমবার ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী রাবাত সৈকতে আয়লানের অকাল মৃত্যুতে বিক্ষোভ করেছেন মরক্কো ও ফিলিস্তিনের বিশিষ্ট নাগরিকরা। ৩০ জনের মত নারী-পুরুষ সমুদ্র সৈকতে শুয়ে ছিলেন আয়লানেরই ভঙ্গিমায়। শিশুটির মতই তাদের পরনে ছিল লাল জামা আর নীল হাফপ্যান্ট। তারা প্রায় ২০ মিনিট ধরে বালির ওপর মুখ গুজে শুয়ে থাকেন। আয়োজকদের একজন হচ্ছেন মরক্কোর অভিনেত্রী লতিফা আহরার। তিনি বলেছেন,‘একজন শিল্পী হিসেবে আমার কাজ হচ্ছে এ ধরনের অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদ জানানো। সহকর্মীদের নিয়ে আমি স্বল্প সময়ের এ বিক্ষেভে অংশ নিলাম। তবে আশা করছি এর ফল হবে সুদূরপ্রসারী।’ সাংবাদিক রসিদ এল বেলঘিতি বলেন,‘ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এখনো প্রচুর স্থান রয়েছে। কাজেই স্বৈরাচারী, গৃহযুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদের শিকার এসব অসহায় মানুষদের প্রতিরোধ না করে আশ্রয় দেয়া উচিত।’ এদিকে সোমবার আয়লানের স্মরণে গাজা উপত্যকার সাগরতীরে একটি শিশু মূর্তি স্থাপণ করেছে ফিলিস্তিনিরা। এর কিছুটা দূরেই রয়েছে আলোচিত এক বধ্যভূমি, যেখানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছিল একই পরিবারের চার ফিলিস্তিনি শিশু। গতবছর ১৬ জুলাই ৫০ দিনের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় গাজার ওই সমুদ্র সৈকতে ফুটবল খেলার সময়ই নিহত হয় এসব ফুটফুটে শিশুরা। প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় সমুদ্র সৈকত থেকে উদ্ধার করা হয় ৩ বছরের শিশু আয়লানের মরদেহ। গত ১ সেপ্টেম্বর ১২ সিরীয় ইউরোপ পাড়ি জমাতে তুরস্কের বোদরাম উপদ্বীপ থেকে গ্রিসের এজিয়ান দ্বীপের উদ্দেশে ২টি নৌকায় চেপে রওয়ানা হয়। এই ১২ জনের মধ্যে আয়লান ও তার বড় ভাই ৫ বছরের গালিপও ছিল। কিন্তু সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আর বৈরী আবহাওয়া তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছাতে দেয়নি। মায়ের কোল থেকে শিশু ২টিকে যেন ছিনিয়ে নিল সমুদ্র। ভাসিয়ে নিল তুরস্কের সৈকতে। আর তার মা রেহান ভেসে গেলেন দূরের অন্য এক সৈকতে। সৈকতে আয়লানের মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেন তুর্কি সংবাদসংস্থা দোগান’র (ডিএইচএ) ফটো-সাংবাদিক নিলুফার দেমির। তার তোলা ছবিতে ভর করেই যেন পরবর্তীতে বিশ্বকে স্থবির করে দেয় আয়লান।