নিউজ ডেস্কঃ পে-স্কেলের দাবি এবং নতুন বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে ক্ষুব্ধ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছে। এই কর্মবিরতির কোনো জাস্টিফিকেশন নেই। তারা জানেই না পে-স্কেলে তাদের জন্য কি আছে, কি নেই।’ নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনায় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। এই আন্দোলনের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের করাপট প্রাকটিস নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।’ প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘অসংখ্য প্রফেসর হয়েছে দেশে। প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও লেকচারার। এদের মধ্যে লেকচারার সবচেয়ে কম। নিচে ১০ জন হলে উপরে এক হাজার। এটা কোনো সার্ভিস হল? শুধু উপরে পদোন্নতি হবে। এটা ঠিক করা দরকার।’ নতুন বেতন কাঠামোকে ‘যুগান্তকারী’ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি পে-স্কেল দেব, যেটা বাজারের সঙ্গে গ্রহণযোগ্য হবে। বাজারের সমান হবে না। কারণ এই যে প্রায়ই বলা হয়, সরকারি চাকুরেদের বেতন কম, এজন্য তারা একটু ঘুষ টুস খায়, যাতে এই জিনিটা চলে যায়। আশা করছি এখন আর সরকারি চাকুরেরা বেতন কম এই অভিযোগ আর করতে পারবে না।’