ফেলানীর পরিবারকে ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

ফেলানীর পরিবারকে ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
ফেলানীর পরিবারকে ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের নির্দেশ (ফাইল ছবি)
নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানী খাতুনের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি (৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে ভারত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সেদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার এ খবর নিশ্চিত করেছেন কলকাতাভিত্তিক মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) সম্পাদক কিরীটি রায়। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য বলেছে মানবাধিকার কমিশন। কিরীটি রায় বলেন, মাসুমের তরফে আমরা ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এদিন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এক বৈঠকে আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন। ভারতের জাতীয় কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য ফেলানীর পরিবারকে ছয় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। মাসুমের সম্পাদক বলেন, আমরা ফেলানী হত্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছি। ভারতের সুপ্রিম কোর্টেও আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। যেভাবে ফেলানীকে হত্যা করে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল, তা একদিকে যেমন ভয়ংকরভাবে মানবতাবিরোধী, তেমনি অত্যন্ত নিষ্ঠুরও বটে। আমাদের সংগঠন ওই হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা ফেলানী হত্যায় ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তার পরিবারের পাশে থেকে সব রকমভাবে তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে যাব। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কিশোরী ফেলানী খাতুন ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারত থেকে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। দেশে ফেরার সময় অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের জওয়ান অমিয় ঘোষ গুলি করে হত্যা করে ফেলানিকে। এ ঘটনার পর বিএসএফের বিশেষ আদালতে অমিয় ঘোষকে আসামি করে একটি অভিযোগ গঠন করা হয়। দুই বছর আট মাস পর ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ রায় দেন বিএসএফের বিশেষ আদালত। সে রায় যথার্থ মনে করেননি বিএসএফের মহাপরিচালক। তিনি রায় পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছিলেন। দ্বিতীয় দফায় ২ জুলাই-২০১৫ বিএসএফের বিশেষ আদালত পুনরায় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দেন। গত ১৪ আগস্ট ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চেয়ে এবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন তার বাবা নুরুল ইসলাম। বাংলাদেশে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মাধ্যমে এবং ভারতের মাসুমের সহযোগিতায় এ মামলা করা হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post