মোবাইল কলের চার্জ কমছে

মোবাইল কলের চার্জ কমছে
অনলাইন ডেস্কঃ কমতে যাচ্ছে মোবাইল ফোনের। এবিষয়ে দেশের অপারেটরদের কাছ থেকে মতামত চেয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি। দেশের ৬ মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছে মঙ্গলবার এক চিঠিতে মতামত জানতে চায় সংস্থাটি। ৩১ আগস্টের মধ্যে তাদের মতামত দিতে বলা হয়েছে। মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহীরা সোমবার বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীলকান্তি বোসের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন। সবার বক্তব্য শোনার পর বিটিআরসি চেয়ারম্যান তাদের লিখিত মতামত জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমানে দেশে মুঠোফোনে প্রতি মিনিট কল করার সর্বোচ্চ সীমা (সিলিং) প্রতি মিনিট ২ টাকা ও সর্বনিম্ন সীমা (ফ্লোর প্রাইস) প্রতি মিনিট ২৫ পয়সা। এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে কল করার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কলরেট ৬০ পয়সা। বর্তমান নিয়ম অনুসারে এক অপারেটরের কল অন্য অপারেটরের কাছে গেলে তার জন্য যে অপারেটরে কল যায় তাকে প্রতি মিনিটে ১৮ পয়সা দিতে হয়। আর প্রতি মিনিটের জন্য ৪ পয়সা দিতে হয় ইন্টার কানেকশন এক্সচেঞ্জকে (আইসিএক্স)। ২০০৮ সালে কস্ট মডেলিং পদ্ধতিতে এসব কলরেট নির্ধারিত করে বিটিআরসি। নতুন প্রস্তাবে সর্বোচ্চ কল সীমা প্রতি মিনিট ৫০ পয়সা কমিয়ে দেড় টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে কল করার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কলরেট ৪০ পয়সা এবং আইসিএক্সে কলচার্জ ৪ পয়সা থেকে কমিয়ে ৩ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। মূলত এ বিষয়ে অপারেটরদের অবস্থান জানতে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ইন্টার কানেকশন কলচার্জ কমানোর ক্ষেত্রে অপারেটরদের মধ্যে মিশ্র মনোভাব আছে। ৫ বেসরকারি অপারেটরের মধ্যে দুই অপারেটর কলরেট কমানোর পক্ষে। আর বাকি ৩ অপারেটরের অবস্থান এখনও পরিষ্কার নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি অপারেটরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ভয়েস কল রেটের দিক দিয়ে বাংলাদেশের বাজার এখনই বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন। কলরেট আরও কমানো হলে তা অপারেটরদের সেবার মানের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post