নিউজ ডেস্কঃ আসন্ন ঈদে রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৯ জুলাই থেকে। সেদিন দেয়া হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকিট, ধারাবাহিকভাবে ১০ জুলাই ১৪ তারিখের এবং ১১ জুলাই ১৫ তারিখের টিকিট দেয়া হবে। এভাবে চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। আর ২৫ শতাংশ টিকিট কাটার সুযোগ থাকছে অনলাইনে। রেলমন্ত্রী জানালেন, এবার রেলযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ১৫৯টি নতুন বগি ও ২৫টি ইঞ্জিন সংযোজন হচ্ছে। তবে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেলের আধুনিকায়ন ছাড়া কমবে না যাত্রী দুর্ভোগ। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ওয়ার্কশপের খটখট শব্দ জানান দিচ্ছে, দুয়ারে ঈদ। তাইতো ব্যাপক ব্যস্ততা এখানে। সারিয়ে তোলা হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ বগি, ইঞ্জিন। প্রিয়জনের সাথে রঙিন হয় উৎসবের আনন্দ। তবে সে রং মুহূর্তেই ফিকে হয় ট্রেনে বাড়ি ফিরতে হবে বলে। চিত্রের বৈচিত্র্য নেই, প্রতিবছর একই, ছাদে,মেঝেতে, দরজায় ঝুলে, দুলে দুলে চলে রেলগাড়ি । বরাবরের মত বাড়তি বগি ও ইঞ্জিন সংযোজন করে পরিস্থিতি সামালের আশ্বাস রেলমন্ত্রীর আর যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন বগি সংযোজন সমাধান নয় বরং দরকার আধুনিকায়ন। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, 'প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লক্ষ ৫০ হাজার বা তারও উপরে যাত্রী যাতে পরিবহণ করতে পারে সেই ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি।' যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক বলেন, 'বেশি বগি এনে আস্তে আস্তে না চালিয়ে কম বগি দিয়ে দ্রুত ট্রিপ অতিরিক্ত দিয়ে সেবা দিলে রেলে অ্যাসেটও কম লাগে, জনগণ খুশি হয়'। শত ঝক্কি আর ব্যস্ততা ফেলে ঈদ এলেই শেকড়ের টানে, গাঁয়ের পানে। ছুটে চলা স্বজন সান্নিধ্যের আশায়। আর এ আনন্দ যাত্রায় যেন ছেদ না পড়ে তাইতো ব্যস্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে। চলবে গাড়ি, যাবে বাড়ি। আর এ আনন্দ যাত্রা হোক, নির্বিঘ্ন।