৮ শতাধিক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

৮ শতাধিক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
৮ শতাধিক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
নিউজ ডেস্কঃ মালয়েশিয়া উপকূল থেকে ৮ শতাধিক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা বহনকারী দুটি নৌকা ফেরত পাঠালো সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনী। জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহের পর নৌকাটি ফেরত পাঠানো হয় বলে জানায় মালয়েশিয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে, মালয়েশিয়ার লংকাবি দ্বীপের কাছে আন্দামান সাগরে ৭শ' অভিবাসী বহনকারী ভাসমান একটি নৌকায় অনাহারে অন্তত ৮ জন মারা গেছে। বুধবার বিকেলে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ের জলসীমায় ৫শো ও লংকাবি দ্বীপের উপকূলে ৩শ' অভিবাসীবাহী দুটি নৌকা দেখতে পায় দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালে সেগুলো উপকূলে ভিড়তে চাইলে অনুমতি না দিয়ে তাদের সাগরে ফিরিয়ে দেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এরপরই মালয়েশিয়ার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ান জুনাইদি বলেন, সমুদ্রসীমান্ত লঙ্ঘন করে নৌকা দুটি তাদের ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করা সত্ত্বেও আরোহীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ান জুনাইদি বলেন, 'আমরা তাদের সঙ্গে মানবতা দেখিয়েছি। তবে তার মানে এই নয় যে অবৈধ অভিবাসীর ঢল আমাদের সামলাতে হবে। এই ধরনের অভিবাসী আমরা আর গ্রহণ করতে পারছি না।' এর আগে রোববার আচেহ উপকূল থেকে ৬শো বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে ইন্দোনেশিয়ার কোস্টগার্ড। তাদের আশ্রয় দেয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আর্মনাথা নাসির জানান, 'যদিও ইন্দোনেশিয়া ১৯৫১ সালে শরণার্থী চুক্তিতে সই করা দেশগুলোর তালিকায় নেই, তারপরও এই শরণার্থীদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। IOM ও UNHCR এর সাথে সমন্বয় করে এইসব রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছি। তাদের আচেহ প্রদেশের আরো ভালো জায়গায় স্থানান্তর করা হচ্ছে।' এরই মধ্যে মিয়ানমারের গণমাধ্যম বার্মা টাইমস জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার লংকাবি দ্বীপের কাছে আন্দামান সাগরে ৭শ' অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা প্রায় ৫ দিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাগরে ভাসছে বলে তাদের কাছে খবর রয়েছে। খাদ্য ও জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় তাদের রেখে পালিয়ে গেছে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। অনাহারে এরই মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরাও করুণ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। থাইল্যান্ড উপকূলের কাছ থেকে গত কয়েকদিনে প্রায় দুই হাজার অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হলেও; আরও ৮ হাজার মানুষ সাগরে ভাসমান অবস্থায় জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা--আইওএম। এসব নৌযানে বিভিন্ন রোগ ও অনাহারের কারণে গুরুতর মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি। এদিকে, বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সাগরে ভাসমান বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অভিবাসীদের জীবন রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। একই দিন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে পাচার হওয়া অভিবাসীদের খোঁজে থাই নৌবাহিনী সাগরে বিমানযোগে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানায় ব্যাংকক পোস্ট।

Post a Comment

Previous Post Next Post