![]() |
গ্রীষ্মের শুরুতেই লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন |
নিউজ ডেস্কঃ চাহিদার চেয়ে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও কমছে না লোডশেডিং। গ্রীষ্মের শুরুতেই বিদ্যুতের আসা যাওয়ার ভেলকিতে অতষ্ঠিত জনজীবন। ঘনঘন লোডশেডিংয়ে বিঘ্ন ঘটছে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা। জেনারেটরের আলোয় চলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, গত চারমাসে মাত্র একদিন লোডশেডিং হয়েছে সিলেট অঞ্চলে। অন্ধকার ক্লাস রুম,অন্ধকার পড়ার টেবিল। নিজেকে গড়ার স্বপ্নে এর মাঝেও চলছে লেখাপড়া। বিদ্যুৎ না থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে অন্ধকারেই চলছে ক্লাস-পরীক্ষা। বিভাগীয় শহরে বাসায় গিয়েও পড়তে হয় মোমবাতি জালিয়ে। কারণ একটাই লোডশেডিং। গরমে অতষ্ঠি ক্ষুদে এই শিক্ষার্থীরা বলছে, বিদ্যুৎ যায় না বরং মাঝে মধ্যে আসে। শিক্ষার্থীরা বলেন, 'এই গরমের মৌসুমে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। এখন আমরা যদি অসুস্থ হয়ে যাই তাহলে আমাদের সামনে পিএসসি পরীক্ষা অনেক খারাপ হয়ে যাবে।' বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে নগরী হয়ে পড়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দোকান মালিকদের ভরসা জেনারেটর। যাদের সেই ব্যবস্থা নেই তারা বসে আছে অন্ধকারে। ব্যবসায়ীদের দাবি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। ব্যবসায়ীরা বলেন, 'জেনারেটরের তেল আনতে অনেক টাকা খরচ হয়। এছাড়া আমরা ব্যবসা পরিচালনায় সমস্যা হয়। ফলে আমারা ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।' তবে বিদ্যুৎ বিভাগের খাতায় সিলেটে লোডশেডিং বলতে কিছুই নেই। বরাবরের মতো দাবি মেরামতের কারণে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখতে হয়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ অঞ্চল সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী রতন কুমার বিশ্বাস বলেন, 'প্রত্যেকটি কাজ করার সময় এলাকাতে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। লোডশেডিং এখানে নাই।' সিলেটের ৬টি বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে প্রতিদিন ৬শ' ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এর বিপরীতে শীত মৌসুমে চাহিদা ১শ' ৭২ মেগাওয়াট এবং গ্রীষ্মে ৩শ'র কাছাকাছি।