নেপালে ভূমিকম্প; চলছে উদ্ধার অভিযান, বিভিন্ন দেশের ত্রাণ সহায়তার ঘোষণা

 চলছে উদ্ধার অভিযান, বিভিন্ন দেশের ত্রাণ সহায়তার ঘোষণা
নিউজ ডেস্কঃ নেপালে গতকালের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির সরকার। ভূকম্পনের কারণে সৃষ্ট তুষারধসে এভারেস্টে গুগলের এক শীর্ষ কর্মকর্তাসহ নিহত হয়েছে ১৮ জন। ভূমিকম্পের পর নেপালে অবস্থান করা শতাধিক পর্যটকের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া হতাহতদের উদ্ধারে চলছে অভিযান। উদ্ধারে কাজে যোগ দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন। বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পাশাপাশি উদ্ধার কাজে সহায়তা ও ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও নরওয়ে। শনিবার দুপুরে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে এ ভবনটির মতো নেপালের অনেক ভবন হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ে। ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপে এখনো চাপা পড়ে রয়েছে অসংখ্য মানুষ। ৮১ বছরের মধ্যে নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ এ ভূমিকম্প পাল্টে গেছে দেশটির চেহারা। কাঠমান্ডুর ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেক নিশানাও মুছে গেছে এ ভূমিকম্পে। ভূমিকম্পের পরপরই উদ্ধারে স্বজন, প্রতিবেশীদের সন্ধান শুরু করেন সাধারণ মানুষ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধার কাজে যোগ দেয় দেশটির সেনাবাহিনীও। ধসে যাওয়া বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ধারাহার টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়াদের উদ্ধারেও চলছে তৎপরতা। ১৮৩২ সালে নির্মিত এ টাওয়ারটির ধ্বংসস্তূপে এখনও অনেকে আটকে পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারীরা। ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধারকারী দল পাঠায় ভারত। একই সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে ত্রাণও পাঠায় দেশটি। হিমালয় কন্যার এ দুর্যোগকালে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ চীনও। এরই মধ্যে দেশটি সন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা বাহিনীর ৬২ জনের একটি দল নেপালে পৌঁছেছে। পাকিস্তানও পাঠাচ্ছে শুকনা খাবার, কম্বল, তাবু, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ চিকিৎসক ও উদ্ধারকারী বিশেষজ্ঞ। নেপাল সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোও। প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা দেয়ার ঘোষণার পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলা টিম পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চরম এ মানবিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠাতে ব্রিটেনও সন্ধান ও উদ্ধারসহ বিভিন্ন কাজের জন্য পাঠাচ্ছে ৮টি বিশেষজ্ঞ দল। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে প্রায় ৪০ লাখ মার্কিন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নরওয়ে। উদ্ধার তৎপরতায় হাত-পা হারানো বা বড় ধরনের আঘাত পেলেও অনেক ভাগ্যবানকে জীবিত উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। কিন্তু দফায় দফায় ভূমিকম্পের আঘাতে অনেক হাসপাতালও মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যেগুলো টিকে রয়েছে, সেসব হাসপাতালেও আহতদের জন্য স্থান সংকুলান হচ্ছে না।

Post a Comment

Previous Post Next Post