সোনার তৈরি সাইকেল!

সোনার তৈরি সাইকেল!
সোনার তৈরি সাইকেল!
গ্রিক মিথের কিং মিডাসের `গোল্ডেন টাচের` কথা কে না জানে! এশিয়া মাইনরের এ রাজা যেখানে হাত রাখতেন, সেটাই সোনায় পরিণত হতো। রূপকথার এই কিং মিডাসের সন্ধান পাওয়া গেল বাস্তবে। নাম তার হিউ পাওয়ার। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্বর্ণকার। আর এই স্বর্ণকারের জীবনের উদ্দেশ্যই হলো প্রতিদিনের জঞ্জাল দিয়ে বিলাসবহুল সোনার গহনা তৈরি করা। হলিউডি তারকাদের পছন্দের বাসস্থান বেভারলি হিলসের এ জুয়েলারি ডিজাইনার তার কোম্পানির নামও দিয়েছেন `হাউস অব সলিড গোল্ড`। কাচ কিংবা হেডফোনের মতো সব ফেলনা জিনিসকে দামি দামি গোল্ড প্লেটেড গয়না বানানোই বিশেষায়িত এ প্রতিষ্ঠানটির কাজ। আর এগুলো তৈরির পর বিক্রি করে তারা আয় করেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। তবে পাওয়ার যে জিনিসটা নিয়ে গর্ব করেন সেটি হলো, পাহাড়ে চালানোর উপযোগী একটি সাইকেল। ২৪ ক্যারেটের খাঁটি সোনা দিয়ে এটি বানাতে খরচ হয়েছে চার কোটি টাকার মতো। আভিজাত্য বাড়াতে তিনি সাইকেলের চেইন, স্পোক ও পেডেলগুলোও মূল্যবান ধাতু দিয়ে মুড়িয়েছেন। আর সামনের লোগোটি আঁকতে ব্যবহার করেছেন কালো রঙের ৫০০ টুকরো হীরা এবং ৬০০টি নীলমণি (স্যাফায়ার)। সবই যখন হলো, তখর বসার সিটটাই বা বাদ রাখা কেন? তাই সেটিও বাঁধানো হয়েছে অ্যালিগেটরের চামড়া দিয়ে। সব মিলিয়ে সাইকেলের দামটা সাধ্যাতীত মনে হলেও শিগগিরই এটি বেঁচে দিতে পারবেন বলে আশাবাদী পাওয়ার। তার যুক্তি হলো, কাউকে যদি সোনার তৈরি কিছু উপহার দেন, তবে সে সেটি আজীবন মনে রাখে। কাজেই ধনীরা এর পেছনে টাকা খরচ করতে কার্পণ্য করেন না। অডিটি সেন্ট্রাল।

Post a Comment

Previous Post Next Post