ম্যাক্সিমাসের নতুন তিনটি স্মার্টফোন

ম্যাক্সিমাসের নতুন তিনটি স্মার্টফোন
মোহাইমিন ইসলাম মাহিনঃ আজ দেশের বাজারে আইএক্স ডিজাইন সিরিজের তিনটি নতুন মডেলের স্মার্টফোন উন্মুক্ত করছে ম্যাক্সিমাস মুঠোফোনের স্বত্বাধিকারী কোয়ার্টেল ইনফোটেক লিমিটেড। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম-নির্ভর নতুন তিনটি মডেল হচ্ছে আইএক্স কেইন, আইএক্স হেক্সা ও আইএক্স ইউএফও। নতুন মডেলের ম্যাক্সিমাস মুঠোফোন প্রদর্শন করছেন এক মডেল। আজ দেশের বাজারে আইএক্স ডিজাইন সিরিজের তিনটি নতুন মডেলের স্মার্টফোন উন্মুক্ত করছে ম্যাক্সিমাস মুঠোফোনের স্বত্বাধিকারী কোয়ার্টেল ইনফোটেক লিমিটেড। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম-নির্ভর নতুন তিনটি মডেল হচ্ছে আইএক্স কেইন, আইএক্স হেক্সা ও আইএক্স ইউএফও। ম্যাক্সিমাস মুঠোফোন পরিচালনা বিভাগের কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পাশাপাশি আমরা প্রতিবেশী মিয়ানমারেও ম্যাক্সিমাস মুঠোফোন বিপণন শুরু করেছি। নকশা আর উদ্ভাবনের দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে গ্রাহকদের উপযোগী ফোন বাজারে আনি আমরা।’ বাজারে ক্রেতাদের হাতের নাগালে ফোন রাখার বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়। তিনি বলেন, ‘নতুন তিনটি ফোন বাজারে আনতে পেরে আমরা আনন্দিত।’ তিনটি মডেলেই রয়েছে দারুণ সব ফিচার। এই ফোনগুলো অ্যান্ড্রয়েড সর্বশেষ সংস্করণ ললিপপ সমর্থন করবে। এতে রয়েছে ওটিজি (অন দ্য গো) ও ওটিএ (ওভার দ্য এয়ার) সুবিধা, যাতে এটি ইউএসবি হোস্ট হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি নানা ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। ওটিএর মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ হালনাগাদ করা যাবে। তিনটি মডেলের ফোনের ফিচার সম্পর্কে মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, আইএক্স কেইন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ বাঁশের কাঠামো, যা ফোনটি পিছলে যাওয়া ঠেকাবে। এর পেছনে আছে সনির তৈরি ১৩ মেগাপিক্সেলের সেন্সর ও সামনে দুই মেগাপিক্সেলের সেন্সর। পাঁচ ইঞ্চি মাপের এইচডি আইপিএস ডিসপ্লে সুবিধার স্মার্টফোনটির পুরুত্ব মাত্র আট মিলিমিটার। এটি ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকায় বাজারে পাওয়া যাবে। আইএক্স হেক্সা স্মার্টফোনটির বিশেষ ফিচার হচ্ছে ‘বেলফি’ অর্থাৎ এতে রয়েছে ব্যাক টাচ সেলফি সেন্সর, যাতে সেলফি তুলতে বিশেষ সুবিধা মিলবে। ১ দশমিক ৩ গিগাহার্টজ কোয়াড কোর প্রসেসর, এক জিবি র‍্যাম, পেছনে আট ও সামনে দুই মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে ফোনটিতে। আইএক্স ইউএফও ফোনটি মূলত আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্টের (ইউএফও) নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা। ১ দশমিক ৪ গিগাহার্টজের অক্টা কোরের প্রসেসর, ডিডিআর থ্রি মেমোরি, পেছনে আট মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই ফোনটি বাজারে আসবে। ম্যাক্সিমাস প্রসঙ্গে মেজবাহ বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে আমরা সাশ্রয়ী দামের ফোন বাজারে আনছি। আমরা মান ও গ্রাহকের চাহিদাকে গুরুত্ব দিই।’ চীনের সেনঝেন শহরে ম্যাক্সিমাস পণ্যের গবেষণা ও নকশা করা হয়। বর্তমানে প্রতিটি ফোনেই এক বছরে ওয়ারেন্টি দিচ্ছে ম্যাক্সিমাস। বর্তমানে দেশে ৩৫টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে ম্যাক্সিমাসের। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান দেওয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুঠোফোন ব্র্যান্ড হিসেবে উঠে এসেছে ম্যাক্সিমাস।

Post a Comment

Previous Post Next Post