নিউজ ডেস্কঃ দেশের সর্বাধিক অতিথি পাখির সমাগমস্থল হাকালুকি হাওর এখন মুখর অতিথি পাখিদের কলতানে। অন্য বছরের তুলনায় এবার নির্বিঘ্নে বিচরণ করছে হাওরে নানা প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা এবং সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে হাকালুকি হাওরটি বিস্তৃত । ছোট-বড় ২৩৮টি বিলের সমন্বয়ে গড়া এই হাওরকে এশিয়ার বৃহত্তম হাওরও বলা হয়ে থাকে। প্রতিবছরের মতো এবারও হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে এবং ফেব্রুয়ারি মাসে হাকালুকি হাওরে পাখিশুমারি ও সেই সঙ্গে পাখির পায়ে রিং বাঁধা হবে বলে হাওর উন্নয়নে কর্মরত বেসকারি সংস্থাগুলো নিশ্চিত করেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কুলাউড়া উপজেলা চকিয়া, চাতলাবিলের অভয়াশ্রমে হাজার হাজার পাখির সমাগম ঘটেছে। বাইয়া বিল অভয়াশ্রমের পাহারাদার আবদুল কাইয়ুম জানান, এখানে পাখিরা খাবার পায়, নির্ভয়ে থাকে। মানুষজনও পাখিদের বিরক্ত করে না। বিলের আশপাশের জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কয়েকজন কৃষক জানান, প্রতিবছর এ সময়টাতে পাখিশিকারিরা গোপনে বিষটোপ ছিটিয়ে এবং জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে পাখি হত্যা করে। তবে এবার তাঁদের এলাকায় এখনো এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রতিবছর অতিথি পাখি শিকারের একাধিক ঘটনা ঘটলেও এবার এ ধরনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। হাকালুকি হাওরের উন্নয়নে কর্মরত ক্রেল প্রকল্পের কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানান, হাওরে ফুটবিলে এবার অনেক কালেম পাখি তিনি দেখেছেন। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বশির আহমেদ জানান, এখন পর্যন্ত হাওরে চখাচখি, শামুকখোল, খোঁপাডুবুরি, দেশি পানকৌড়ি, লেঞ্জা হাঁস, মরচে রং ভুঁতিহাঁস, পাতি ভুঁতিহাঁস, টিকিহাঁস, গিরিহাঁসসহ আরও কিছু পরিযায়ী পাখি দেখা গেছে। পাখিশিকারিদের অপতৎপরতা ঠেকাতে হাওরের বিভিন্ন অভয়াশ্রম পাহারার দায়িত্বে থাকা গ্রাম সংরক্ষণ দলের সদস্যদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।