খাবারের সতর্কতায় সুস্বাস্থ্য

খাবারের সতর্কতায় সুস্বাস্থ্য
খাবারের সতর্কতায় সুস্বাস্থ্য
স্বাস্থ্য ডেস্ক : ভারী খাবার খেয়ে অনেকে শুয়ে থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু এটা কখনো ঠিক নয়। ভারী খাবার খেয়ে কখনো শুয়ে-বসে কাটানো যাবে না। বরং হাঁটাচলা করতে হবে। স্ন্যাকস-জাতীয় খাবার খাওয়ার পর মূল খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে।
  • রাতে সাধারণত শাক কিংবা করলা খেতে নিষেধ করা হয়। এটা ঠিক নয়। রাতে ঘুমানোর দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে হাঁটাচলা করলে শাক বা করলা হজম হতে সমস্যা হয় না।
  • ঘুমানোর আগে আমরা অনেকে ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকি। ইসুবগুলের ভুসি রাতের খাবারের পরে অনেকক্ষণ ভিজিয়ে না রেখে পানি দিয়ে গুলিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হবে। 
খাবারের সতর্কতায় সুস্বাস্থ্য
  •  প্রতিটি মানুষের খাদ্যাভাস আলাদা। প্রত্যেককে তার নিজস্ব সহনশীল খাবার খেতে হবে। কুসংস্কার না মেনে প্রত্যেকের প্রতিটি খাবার, যা তার নিজের জন্য সহনশীল—তা খাওয়া উচিত। কোনো খাবার কখন খাওয়া ঠিক নয়, সে সম্পর্কে বলছিলেন বারডেমের পুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আখতারুন নাহার ওরফে আলো।
  • গর্ভবতী মাকে ডিম খেতে দেওয়া হয় না, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। গ্রামে এখনো অনেকে মনে করেন, গর্ভবতী মা ডিম খেলে বাচ্চার হাঁপানি হবে। ডাবের পানি খেলে বাচ্চার চোখ ঘোলাটে হবে। ক্ষীরা খেলে বাচ্চার ত্বক ক্ষীরার মতো হবে। কিন্তু এ ধারণাগুলো মোটেই ঠিক নয়। বরং গর্ভবতী অবস্থায় মায়েদের সব ধরনের খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তবে গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া ঠিক নয়। 
খাবারের সতর্কতায় সুস্বাস্থ্য
  • বলা হয়ে থাকে, বাচ্চারা চিনি খেলে কৃমি হয়। কিন্তু চিনির সঙ্গে কৃমির কোনো সম্পর্ক নেই। বরং বাচ্চাদের কৃমি হয় বড়দের অসচেতনতার কারণে।
  • ঠান্ডা লাগলে অনেক সময় বাচ্চাদের কলা খেতে দেওয়া হয় না। কিন্তু ঠান্ডার সঙ্গে কলার কোনো সম্পর্ক নেই। বরং ঠান্ডা লাগতে পারে ঠান্ডা খাবার খাওয়া কিংবা ঠান্ডা পানি পান করার মধ্য দিয়ে।
  • অনেকে বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দেয়। আসলে বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলেও মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না। 
খাবারের সতর্কতায় সুস্বাস্থ্য
  •  বলা হয়ে থাকে, বেশি মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস হয়। কিন্তু এ দুয়ের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি খেতে হয় না।
  • মাংস আর দুধ একসঙ্গে খেতে নিষেধ করেন অনেকে। অথচ আমরা কোরমা, রেজালা রান্না করে থাকি, তাতে কিন্তু দই আর দুধ মেশানো থাকে। কাজেই এ কথাটিও ভুল।
  • টক খেলে গলাব্যথা ভালো হয়ে যায়, এ কথাটা ঠিক নয়। ভিটামিন সি কিংবা টকজাতীয় খাবারের সঙ্গে গলাব্যথার কোনো সম্পর্ক নেই। 
খাবারের সতর্কতায় সুস্বাস্থ্য

  • তেঁতুল খেলে বলা হয়ে থাকে রক্ত পানি হয়ে যায়। এটা পুরোপুরি ঠিক নয়। বরং তেঁতুলে রক্তের চর্বি কাটে, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।
  • জন্ডিস হলে তেল, হলুদ, মরিচছাড়া শুধু সেদ্ধ খাবার দেওয়া ঠিক নয়। বরং জন্ডিসের রোগীদের সব ধরনের খাবার দেওয়া ঠিক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
  • গ্যাস্ট্রিক বা আলসার হলে আগের দিনে বলা হতো সারাক্ষণ দুধ খেলে পেটের জ্বালাপোড়া চলে যায়। কিন্তু এ কথাটা একেবারে ঠিক নয়। এখনকার সময়ে চিকিৎসকেরা বলেন গ্যাস্ট্রিক বা আলসার হলে সারাক্ষণ দুধ খেলে তা ঠিকমতো হজম হয় না, ফলে অ্যাসিডিটি বাড়ে।
  • বেশি গরম পড়লে অনেকে ডিম খেতে দেয় না, কিন্তু গরমের সঙ্গে ডিমের কোনো সম্পর্ক নেই।
(সূত্র : স্বাস্থ্য কথা)

Post a Comment

Previous Post Next Post