লোমহর্ষক সেই হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর; রক্তস্নাত ২৫ ফেব্রুয়ারি

লোমহর্ষক সেই হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর; রক্তস্নাত ২৫ ফেব্রুয়ারি
লোমহর্ষক সেই হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর; রক্তস্নাত ২৫ ফেব্রুয়ারি
নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের নির্মম ও লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর পূর্ণ হলো আজ। এই দিনে ঢাকার বিডিআর সদর দফতর পিলখানায় বর্বর ও মর্মান্তিক যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এ রকম জিঘাংসাপূর্ণ ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আজও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ডসহ মোট ৫৬৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিচারিক আদালতে সাজা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এই রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি চলছে হাইকোর্টে। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পিলখানা এলাকায় অবস্থিত বিডিআর সদরদপ্তরে বিডিআর থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কর্তৃত্বের অবসান, রেশন ও বেতনবৈষম্য দূর করাসহ বেশ কিছু দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। বিডিআর এর ১৫ হাজার উচ্ছৃঙ্খল জোয়ানের গুলিবর্ষণে প্রাণ হারায় বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৭৭জন উর্ধ্বস্থানীয় কর্মকর্তা। বিদ্রোহী জোয়ানরা হত্যা ছাড়াও পিলখানা অভ্যন্তরে বসবাসরত বিডিআর কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার পরিজনকে জিম্মি করে। ওইদিন মধ্যরাতে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে বিডিআর এর সদস্যদের একাংশ আত্মসমর্পণ করে। 
২৬ফেব্রুয়ারি সকালে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বিডিআর ক্যাম্পে উত্তেজনা ছাড়িয়ে পড়ে। সেদিন প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে রাখা ভাষণে, বিডিআর সদস্যদের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। ওইদিন রাতে পিলখানার বিদ্রোহী বিডিআরের সব সদস্য তাদের অস্ত্র জমা দেয় এবং বাংলাদেশ পুলিশ বিডিআর সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এরপরই উন্মোচিত হয় পিলখানার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ৫১ জন সামরিক কর্মকর্তা শহীদ হয়েছিলেন। আর ২০০৯ সালে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় ৫৭ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তা, একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, দুইজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ জন বিডিআর জওয়ান, পিলখানার বাইরে সেনাবাহিনীর একজন সিপাহি, একজন পুলিশ কনস্টেবল ও তিনজন পথচারী নিহত হন।

Post a Comment

Previous Post Next Post